গাউট হলো জয়েন্টের প্রদাহজনিত একটি রোগ। গাউট বা গেঁটে বাত হওয়ার সম্ভাবনা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে যায়।গেঁটে বাতের ব্যাথা খুবই অসহনীয়। গেঁটে বাত হলে জয়েন্ট ফোলা , লাল হয়ে যায় ত্বক এবং আক্রান্ত স্থানটি গরম হয়ে যায় ।

কি কি কারণে গেঁটে বাত হয়ঃ রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গেঁটে বাত হয়। ইউরিক এসিড রক্তে বাড়াতে পারে এমন খাবার খেলে ইউরিক এসিড বেড়ে গিয়ে স্পটিক আকারে জয়েন্ট এবং এর আশেপাশে টিস্যুতে জমা হয়ে গেঁটে বাত হয়। কম পরিমান পানি পান করা, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কম খাওয়া, বেশি পরিমান সামুদ্রিক মাছ/শুটকি, ডাল, গাজর, শিম,বিয়ার পান,নিয়মিত মাংস আহার যারা করেন তাদের মধ্যে হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। শারিরীক স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন হার্টের রোগ, কিডনিতে পাথর এবং জিনগত সমস্যার কারণে গাউট হতে পারে। তাছাড়াও দীর্ঘদিন শরীর হতে পানি কমানোর ওষুধ ফ্রুসেমাইড, উচ্চরক্তচাপের ওষুধ এবং ক্যান্সারের ওষুধ সেবনের কারনে গাউট হতে পারে।

কিভাবে নির্ণেয় করা যায় – রক্তের ইউরিক এসিডের পরিমাপ পরিক্ষা করে বুঝা যায়।তাছাড়াও জয়েন্টের এক্সরে, কিডনির কার্যকারিতা পরিক্ষার মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায়।

চিকিৎসাঃ গেঁটে বাত কে প্রাচীন কালে রাজকীয় বাত বলা হতো। কারণ ধণী মানুষদের এই রোগ হতো বেশি তাদের রাজকীয় জীবন ধারার জন্য। পরিশ্রমী মানুষের কম সম্ভাবনা থাকে গাউট হওয়ার। সামুদ্রিক মাছ,শুটকি,ডাল,শীম,গাজর বেশি খাওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে,ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে।মদ বা বিয়ার জাতীয় পানীয় বর্জন করতে হবে।সংক্রমণ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে।
লিখেছেনঃ
ডাঃ অজিত ভদ্র(ইএমও হেলথ এশিউর বাংলাদেশ লিঃ এবং এইমস হাসপাতাল ঢাকা)